জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের অবাধ ব্যবহারে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। এতে বিপন্নের মুখে প্রাণিকূল, হুমকির মুখে পড়েছে ইকোসিস্টেম। বনাঞ্চল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বায়োডাইভারসিটি কনভারসেশন: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ বিষয়ক শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন প্রধান।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষদের পরিবেশ ধ্বংসের কারণে বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমস হুমকির সম্মুখীন। বন্যপ্রাণী আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, লোভী মানুষরা বন্যা প্রাণীদের আবাসস্থল ধ্বংস করছে। বন ও পাহাড়ের মাঝখানে ঘর, রাস্তা তৈরি করে প্রাকৃতিক বৈচিত্র নষ্ট করা হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বন ধ্বংস না করে বন্য প্রাণীদের উপযোগী বনায়ন তৈরি করা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, একসময় বন্য প্রাণীদের হত্যা করা হতো। হরিণ, বাঘের চামড়ার চড়া দামের কারণে কিছু অসাধু ব্যক্তি বন্যপ্রাণী শিকার করে ইকোসিস্টেমকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকবে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাণিকুলের আবাসস্থল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য গবেষকদের প্রায়োগিক দিক খেয়াল রাখতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইস আনসারী, র‍্যাংস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনাম চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহসভাপতি ড. তপন কুমার দে, ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের প্রমুখ বক্তব্য দেন।