ইমাদ উদ্দিন রিজভীর সঙ্গে ২০১৩ সালে পরিচয় ও প্রেম আরিনা তাসনোভা নেহার। পালিয়ে দু'জন ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর বিয়ে করেন। এ বিয়ে মেনে নেননি নেহার বাবা রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা হানিফ মোল্যা। তিনি নানাভাবে রিজভীকে হয়রানি করে আসছেন।

সর্বশেষ ১৩ জানুয়ারি খিলক্ষেত থানায় দ্বিতীয় দফায় নেহাকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করেন হানিফ। ১৯ জানুয়ারি রিজভীকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মিত্রসেনপট্টি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

নেহা সমকালকে জানান, অমতে বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বাবা ২০২০ সালে তাঁর বয়স কম দেখিয়ে রিজভীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। অথচ সে সময় তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) বিবিএ প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। স্বামীর মুক্তির শর্তে বাবার কথায় রাজি হয়ে ফিরে আসেন। এর পর থেকে বিচ্ছেদের জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিলেও রাজি হননি। এক পর্যায়ে স্বামীর কাছে ফিরে যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবারও রিজভীকে শায়েস্তা করতে হানিফ মামলা দেন।

নেহা দাবি করেন, তাঁকে কেউ অপহরণের চেষ্টাও করেনি। আগের মতোই স্বেচ্ছায় পালিয়ে এসেছেন। কথামতো না চলায় প্রায় দু'বছর পর বাবা ফের তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। স্বামীর মুক্তি চান তিনি।

রিজভীর মা সাহিদা বেগম বলেন, ছেলেমেয়ে প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করেছে। মেনে নিতে না পেরে হানিফ মোল্যা ছেলেকে আবারও জেলে দিয়েছেন।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে হানিফ মোল্যা সমকালকে বলেন, 'জমিজমা হাত করতে রিজভী মেয়েটাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। এখন তারা নেহাকে নিয়ে গেম খেলছে। এর শেষ দেখব! আপনার যা খুশি লিখতে পারেন।'

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম জানান, রিজভীকে গ্রেপ্তারের সময় নেহাকে পাওয়া যায়নি। পরে ২৮ জানুয়ারি ঢাকার সূত্রাপুর থেকে উদ্ধারের পর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আদালতে নেহার জিম্মা চেয়ে আবেদনকারী আইনজীবী অশোক কুমার বিশ্বাস সমকালকে বলেন, জবানবন্দির পর বিচারক জন্মসনদ অনলাইনে যাচাই করে নেহার বয়স ২১ বছর পেলে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন।