- রাজধানী
- কবিতায় আন্দোলন হয়, ঐক্য গড়ে তোলে
কবিতায় আন্দোলন হয়, ঐক্য গড়ে তোলে
পর্দা নামল জাতীয় কবিতা উৎসবের
কবিতায় আন্দোলন হয়, কবিতা মানুষের ঐক্য গড়ে তোলে। কবিরা কবিতা দিয়ে শান্তি অর্জনের জন্য প্রতিবাদ-সংগ্রাম করেন। সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য কবিদের বিবেকের বার্তাবাহক হিসেবে দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসবের সমাপনী দিনে কবি-সাহিত্যিকরা এসব কথা বলেন। জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাকিম চত্বরে ৩৫তম এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
সকাল ১১টায় 'বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা' শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। এ প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কবি আখতার হুসেন, রফিকউল্লাহ খান ও আমীরুল ইসলাম। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
এর পর 'কবিতা এবং শান্তি' বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম। আলোচনা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ভারতের দিল্লি থেকে আসা কবি অরুণ কমল, মুম্বাই থেকে আসা হেমন্ত দিভতে, কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ও অস্ট্রিয়ার কবি ওয়ালি রি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, যদি বাংলার স্বাধীনতার কথা বলি, জয়ের কথা বলি, তাহলে আরেকটি শব্দ যুক্ত করতে হবে, তা হলো বাংলা। বাংলার প্রথম উচ্চারণ, কবিতার উচ্চারণ জয় বাংলা। তিনি আবৃত্তি করেন, তুমি ভুলে যাচ্ছো স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা, উচ্চতর শৃঙ্গ থেকে গভীরতম সমুদ্রদেশ; মনে রেখো এই সত্য, যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ।'
আনিসুল হক বলেন, বাংলার কবিতা চিরকালই স্বাধীনতাকে ধারণ করেছে। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাও কবিতার শরীরে বর্ণগন্ধ হয়ে মিলেমিশে থেকেছে। আমাদের কবিতার স্বপ্ন, পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তির স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক মোহনায় এসে মিলল, ছয় দফা হয়ে উঠল এক দফা- বাংলার স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতা নামের কবিতাটি রচনা করলেন একজন কবি। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা বাংলায় কবিতা লিখতে পারতাম না।
'কবিতা এবং শান্তি' প্রবন্ধ পাঠকালে অধ্যাপক ফখরুল আলম বলেন, কবিরা জীবন, আশা, ভালোবাসা, শান্তি নিয়ে সুশোভিত, চমৎকার, সৌম্যের কবিতা লিখে গেছেন।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, যদি আমরা শান্তির বিশ্ব চাই, তাহলে অন্যকে সম্মান, শ্রদ্ধা করতে হবে। সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
মন্তব্য করুন