পঞ্চগড়ে মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে এক বাবা (৫০) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার মরদেহটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত ১৭ জানুয়ারি রাতে উপজেলা সদরের মাগুড়া ইউনিয়নের শ্যামল চন্দ্র বর্মণের ছেলে পলাশ চন্দ্র বর্মণ ওই কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চান ছাত্রীর বাবা। বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাসও দেন ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ। তবে ১৫ দিন পরও বিচার না পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।


পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, বাড়িতে গিয়ে টানাহেঁচড়া ও শ্নীলতাহানি করার সময় বাধা দিলে তরুণীর এক চাচাকে মারধরও করে পলাশ। আহত অবস্থায় ছাত্রীকে পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চান বাবা।
মৃতের ছেলে বলেন, আত্মসম্মানের ভয়ে আমরা থানায় যাইনি। চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। এর পর থেকে বিচারের জন্য আমরা ঘুরতে থাকি। সব শেষ বুধবার ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকে বসার কথা ছিল। তবে সেই বৈঠক হয়নি। মূলত বিচার না পেয়েই বাবা কাউকে কিছু না বলে আত্মহত্যা করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, অভিযোগ পেয়েই উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়। প্রথমে বৈঠকে পলাশ হাজির হয়নি। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার কথা থাকলেও কেউ আসেননি। তাঁরা না এলে আমি কী করতে পারি। ঘটনার পর মেয়ের বাবাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি তা নেননি।
সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।