- রাজধানী
- জীবনকে অর্থকরী নয়, অর্থবহ করে গেছেন আজহার
মানিকগঞ্জে স্মরণসভায় বক্তারা
জীবনকে অর্থকরী নয়, অর্থবহ করে গেছেন আজহার
অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম। ছিলেন সত্যবাদী, নির্ভীক ও আদর্শবান। অনেক সুযোগ থাকলেও জীবনকে অর্থকরী করেননি, করেছেন অর্থবহ। মানিকগঞ্জে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রয়াত নেতা আজহারুল ইসলামের স্মরণসভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
শহরের সাংস্কৃতিক বিপ্লবী সংঘের (সাবিস) মিলনায়তনে বিকেলে এর আয়োজন করে সিপিবি জেলা কমিটি। সভায় দেওয়া বক্তব্যে দলের সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, কমরেড আজহার ছিলেন আদর্শবান ও নিষ্ঠাবান মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর মধ্যে কৃষক ও মেহনতি মানুষের অধিকারের আন্দোলন সংগঠিত করার বোধ ছিল অসাধারণ। জেদি হলেও খুব সহজ-সরল চলাফেরা ছিল। গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সিপিবিকে সংগঠিত করেছেন। আমৃত্যু ছিলেন দলের সঙ্গে যুক্ত।
জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, 'পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত; এক ভাগে শোষক আর এক ভাগে শোষিত'- তিনি শোষিতের পক্ষে। অথচ নিজের কম্বলটিও পাননি তিনি। চাটার দল সব খেয়ে ফেলে।"
শাহ আলম প্রশ্ন করেন, আজ চাটার দল কমেছে, নাকি বেড়েছে? ব্যাংক খেয়ে ফেলছে, টাকা পাচার হচ্ছে, লুটপাট করছে। এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু চাননি।
আজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে শুধু সিপিবির নয়, গোটা জাতিরই ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শাহ আলম।
জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম কামাল, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, জেলা সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ঘোষ, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি শংকর প্রসাদ ভৌমিক, জাসদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান প্রমুখ।
সভার পর বের হওয়া একটি শোক র্যালি শহরের শহীদ রফিক সড়ক ও গার্লস স্কুল সড়ক হয়ে পশ্চিম দশড়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
২৯ জানুয়ারি রাতে মানিকগঞ্জ শহরে পশ্চিম দাশড়া এলাকার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন সিপিবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম। আজীবন মেহনতি মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে সম্পৃক্ত হন আইন পেশায়।
মন্তব্য করুন