বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির সপ্তম দিন পার করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটে’র ব্যানারে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। সারাদেশ থেকে আসা শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এতে অংশ নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে আসা শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একই পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধায় ব্যাপক পার্থক্য। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেওয়া হয় না। এ ছাড়া বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তাও নেই।

জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার ১০০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (বাবেশিকফো) মহাসচিব  রফিকুল ইসলাম,  সহসভাপতি ফয়েজ আহমেদ, অনলাইন শিক্ষিক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম, জহিরুল ইসলাম, বিপ্লব দাস, আব্দুল জব্বার, শেখ জসীম উদ্দিন, আবু রায়হান, শাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান দুলাল, জুলেখা বেগম, ঝর্ণা বিশ্বাস, আফজাল হোসেন তালুকদার, ওয়েছ আলী,  আনোয়ারুল ইসলাম, নুরুল আমিন হেলালী প্রমুখ।

বিষয় : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

মন্তব্য করুন