যশোরে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের এক কর্মচারীকে মারপিট ও নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তিন সন্ত্রাসীসহ যুবলীগ নেতা মেহবুব রহমান ম্যানসেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পলাশ কুমার দালাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ম্যানসেল শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। এ ছাড়া তিনি হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি হাত-পা হারান।

ওই যুবলীগ নেতার তিন সহযোগী হলো, শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাকিব হোসেন ওরফে ভাইপো রাকিব, অনিক হাসান মেহেদী ও মীর সাদী।

এর আগে দুপুরে প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের ওই ঘটনার পর রেলস্টেশন এলাকায় ম্যানসেলের আস্তানা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

যশোর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট বাপ্পি সুব্রতকবি শেখর জানান, বেলা ১টার দিকে চিকিৎসা নিতে কেন্দ্রে আসেন ম্যানসেল। তাঁর থেরাপি নেওয়ার কথা ছিল। প্রতিষ্ঠানের কর্মী আল আমিন থেরাপি মেশিন প্রস্তুত করার সময় জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন তাঁকে ডাকেন। এরপর সেখানে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যানসেল ও তার লোকজন ডেকে এনে আল আমিনকে মারপিট করেন। চিৎকার শুনে মুনা আফরিন ঘটনাস্থলে এলে তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ম্যানসেলের লোকজন।

মুনা আফরিন বলেন, তাঁর চাকরি জীবনে এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়েননি। এ ঘটনার পর ম্যানসেলসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন তিনি।

যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।