রাজধানীর গুলিস্তানে সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মো. ইসমাইলের (৪২) মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন স্বজন ও বন্ধুরা।

নিহত ইসমাইল ঘটনাস্থলের পাশের এলাকা আলু বাজারের লুৎফর রহমান লেনের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরপরই ইসমাইলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময়ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ তুলে ইসমাইলের বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হন। ম্যাজিস্ট্রেট এলে তথ্য নথিভুক্তসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা, এমন সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে স্বজন ও বন্ধুরা সাদা কাপড়ে মোড়া মরদেহটি জোর করে নিয়ে চলে যান। পুলিশ সদস্যরা নিবৃত্ত করতে চাইলেও শেষমেষ পারেননি। পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। মরদেহ নিয়ে এক দৌঁড়ে স্বজন ও বন্ধুরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে পরে উধাও হয়ে যান।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোজ বলেন, ‘মরদেহেরর সুরতহালের কাজ পুলিশের। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।’

গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে নর্থ সাউথ রোডের গ্রিন সুপারমার্কেটের উল্টো পাশের ভবনটিতে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঘটা বিস্ফোরণে রাত পর্যন্ত ১৭ জন নিহতের তথ্য জানা গেছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রক্তদানে আগ্রহীদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।