রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে। এরপর থেকে একের পর এক নিহতের খবর আসছে, উদ্ধার হচ্ছে লাশ। আহতদের নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখান থেকে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন, অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এত হতাহতের মাঝেও ছোট্ট সামির খুঁজে পাচ্ছে না তার বাবা মমিন উদ্দিন সুমনকে।


আনুমানিক ৫-৬ বছর বয়সী সামির বুধবার সকাল থেকে গুলিস্তানে বিস্ফোরণস্থলে এসে তার বাবার খোঁজ করছে। তার বাবার সঙ্গে কাজ করতেন বা তার বাবাকে চেনেন এমন অনেকে সামিরকে বুকে টেনে, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। কিন্তু কেউ তার বাবার খোঁজ বলতে পারছেন না। নিহতের মধ্যেও সামিরের বাবাকে পাওয়া যায়নি। আবার আহত যারা হাসপাতালে ভর্তি সেখানেও তার বাবা নেই। এরপর থেকে বিস্ফোরণস্থলে এসে বাবার খোঁজে অপেক্ষা করছে ছোট্ট সামির।

ছোট্ট সামিরকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন তার বাবার পরিচিতরা- সমকাল

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুলিস্তানে দ্বিতীয়দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়। পরে আজ বুধবার সকাল ৯টার পর ফায়ার সার্ভিস ফের উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)।

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত আরও খবর


এ ছাড়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে কাজ করছে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড।

গুলিস্তানে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। ছবি: সাহাদাত হোসেন পরশ

গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে নর্থ সাউথ রোডের গ্রিন সুপারমার্কেটের উল্টো পাশের বহুতল ভবনে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।