রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ২১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখনো ভাই মো. রবিন হোসেনের (১৮) সন্ধান পায়নি শাহাদাত হোসেন।
রবিন হোসেনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মুরাদপুর হাইস্কুল এলাকায় থাকতেন তারা। রবিন কাজ করতেন বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের আনিকা নামের একটি স্যানিটারি পণ্যের দোকানে।
বিস্ফোরণের পর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (ঢামেক) বিভিন্ন জায়গায় রবিনকে হন্য হয়ে খোঁজ করছেন তার ভাই মো. শাহাদাত হোসেন। সমকালকে শাহাদাত বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই রবিনের মোবাইলে কল দিয়েছি। ফোনে সাড়া না পেয়ে এখানে আসার পর খোঁজ না পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাই। ওইখানে অনেকগুলো লাশের মধ্যেও ভাইকে খুঁজে পাইনি। যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকেও খুঁজেছি। পরে মিটফোর্ডেও গিয়েও খোঁজ পাইনি। রাত দুইটা পর্যন্ত এখানে অপেক্ষা করেছি।'
গতকাল রাত দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আজ সকালে ফের বিস্ফোরিত ভবনের সামনে অপেক্ষা করছেন শাহাদাত। শাহাদাত বলেন, 'আমার ভাইয়ের দেখা এখনো পাইনি। বিস্ফোরণের আগপর্যন্ত আমার ভাই দোকানের ভেতরেই ছিল।'
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুলিস্তানে দ্বিতীয়দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়। পরে আজ বুধবার সকাল ৯টার পর ফায়ার সার্ভিস ফের উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)। এ ছাড়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে কাজ করছে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড।
গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে নর্থ সাউথ রোডের গ্রিন সুপারমার্কেটের উল্টো পাশের বহুতল ভবনে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
মন্তব্য করুন