‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারে (এনডিডি) আক্রান্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা তাদের সমস্যার কথা কাউকে সঠিকভাবে বলতে পারে না বলেই তাদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া দরকার। এ ধরনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সার্বিক বিকাশ ও সুস্থতার জন্য তাদের চোখের যথাযথ যত্ন নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’

বুধবার রাজধানী ঢাকায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, ইনার হুইল ক্লাব ঢাকা ওয়েসিস ও ব্রাইটার লাইফ স্কুল ফর মাদারস অব স্পেশাল চিলড্রেনসের সহযোগিতায় ফেইথ বাংলাদেশ  ‌'এনডিডি-আক্রান্ত শিশুদের চোখের যত্ন এবং বৈজ্ঞানিকভাবে খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের জন্য চোখের যত্ন এবং সঠিক পুষ্টি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ সময় বিশেষজ্ঞরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সার্জন ডা. নুসরাত শাহরিন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের আইপিএনএ'র পুষ্টিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান (মাহমুদ)। এছাড়া ফেইথ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার করিম, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার একেএম নুরুল কবির ও ইনার হুইল ক্লাবের শাহিদা হায়দার দীপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে ডা. নুসরাত শাহরিন বলেন, এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের বিশেষ স্কুলে ভর্তির আগে তাদের চক্ষু পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। তাদের জন্য স্কুলে বিশেষ ব্যবস্থা এবং নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করতে হবে।

পুষ্টিবিদ মাহমুদুল হাসান (মাহমুদ) বলেন, এ ধরনের শিশুদের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। এসব শিশুরা যাতে তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তিনি মা-বাবা ও যত্নকারীদের প্রয়োজনীয় কৌশলগুলো শিখিয়ে দেন।

এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের মা ও যত্নকারীদের পাশাপাশি শিশু বিকাশে কাজ করে এমন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা সেমিনারে যুক্ত হয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে নানা ধরনের প্রশ্ন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি