- রাজধানী
- বিমানবন্দরে গেট নির্মাণে অনিয়ম: ৫ প্রকৌশলীকে তিরস্কার, দণ্ড ও সতর্ক
বিমানবন্দরে গেট নির্মাণে অনিয়ম: ৫ প্রকৌশলীকে তিরস্কার, দণ্ড ও সতর্ক
-samakal-640dce1e4969a.jpg)
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (পিঅ্যান্ডডি, কিউএস) কার্যালয়ের একটি গেট ও ওয়েটিংরুম নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে পাঁচ প্রকৌশলীকে তিরস্কার, বেতন কমিয়ে লঘুদণ্ড প্রদান ও সতর্ক করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সই করা দণ্ডাদেশ থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, তদন্ত কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২ জানুয়ারি বেবিচকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর পাঁচ প্রকৌশলীকে এই তিরস্কার ও লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই প্রকৌশলীরা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী (কিউএস) এএইচএম নুরুদ্দিন চৌধুরী (চলতি দায়িত্বে তত্ত্বাবধায়ক), নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) শহীদুজ্জামান (চলতি দায়িত্বে সহকারী), সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম (চলতি দায়িত্বে তত্ত্বাবধায়ক) ও সহকারী প্রকৌশলী নাসিম আল ইসলাম (চলতি দায়িত্বে নির্বাহী)।
এদের মধ্যে শহীদুজ্জামানকে বেতনস্কেলে অবনমন (ডিমোশন) ঘটিয়ে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নুরুদ্দিন চৌধুরীকে তিরস্কার করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এই শাস্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
বেবিচক সদস্য (অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার সমকালকে বলেন, গেট নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে এক কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৩ টাকা ব্যয়ে এই গেট নির্মাণ করা হয়। ব্যয়ের বিষয়টি বেবিচকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরে পড়ে। ওই গেটে শুধু নামফলক বসানোর পেছনেই ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকার বেশি। নামফলকের প্রতিটি হরফের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। গেটের এসআই পাইপের প্রতিটি টুকরোর দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকার ওপর। নকশা করতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। মাত্র ৩০ ফুট উঁচু এই স্টিলের গেট নির্মাণে ব্যয় দেখানো হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৩ টাকা। তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, এই গেট এক কোটি ১৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল। সেই হিসাবে কমপক্ষে ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫১২ টাকার আর্থিক অনিয়ম করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, গেট নির্মাণের দুর্নীতিতে জড়িত প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে বেবিচকের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেবিচকের উন্নয়নকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
মন্তব্য করুন