নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব, যখন নারী আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘সংগঠন, সরকার, প্রশাসন সবক্ষেত্রেই নারীর নেতৃত্ব থাকতে হবে, তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। কারণ, নারীই পারেন একটি পরিবারকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখতে।'

বুধবার ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীর সমৃদ্ধি’ শীর্ষক নারী উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সাথী নেটওয়ার্কের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে এই সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ১৫০ জন নারী উদ্যোক্তা এ সম্মেলনে যোগ দেন। আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল আর্থিক সেবা ও ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিষয়ে নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

আগে সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্রে শুধু বাবার নাম থাকতো উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘আমরা সেটা পরিবর্তন করেছি, আমাদের নেত্রীর নির্দেশে এখন বাবা, মা উভয়ের নাম থাকে। প্রাইমারি স্কুলে আগে দেখেছি— সাতজন পুরুষ, তিনজন নারী শিক্ষক। এখন স্কুলে বেশিরভাগই নারী শিক্ষক। কারণ, এসএসসি পাশ করার পরই নারীরা শিক্ষক হতে পারেন। সুনামগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ আমাদের নারী উদ্যোক্তারা কাজ করছেন। সাবলম্বী হচ্ছেন।’

‘হার পাওয়ার’ নামে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্রজেক্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ২৫ হাজার নারীকে যুক্ত করার চিন্তা রয়েছে। প্রথম তিন মাস তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর ইন্টার্নশিপ হবে। শেষে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম, এটুআইয়ের যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। আলোচনা পর্ব শেষে বছরব্যাপী অসামান্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে তিনজন নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।