স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করে নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছেন ৩৩ জেএমবি সদস্য। বৃহস্পতিবার বিকেলে সপ্তাহিক সাক্ষাতের অংশ হিসেবে রাজশাহীর বেলপুকুর থানায় আসেন তাঁরা। 

পুলিশ জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির কার্যক্রমে জড়িত থাকায় এই সদস্যদের মধ্যে তিনজনের সাজা হয়েছে। অন্যরা গ্রেপ্তারের পর জামিনে আছেন। তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। এ জন্য তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের প্রতি সপ্তাহে একবার থানায় হাজিরা দিতে হবে, পুলিশের নজরদারিতে থাকতে হবে। 

রাজশাহী নগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ২০০৪-০৫ সালে এ ব্যক্তিরা জেএমবির সঙ্গে জড়িয়ে যান। ২০১৬ সালেও অনেকে এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মামলার আসামি হন। পরে তাঁরা বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন। এখন তাঁদের সমাজের স্বাভাবিক ধারায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এটা মডেল কাজের অংশ। পরে অন্য থানায়ও এটি চালু হবে। 

ক্ষুদ্র জামিরা গ্রামের জেএমবি সদস্য আবু তালহা বলেন, জেএমবি সংশ্লিষ্টতার মামলায় অনেক দিন কারাগারে ছিলাম। এখন প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিই। এতে অনেক ভালো আছি। আর হয়তো পুলিশ আমাকে ধরবে না কিংবা পালিয়েও বেড়াতে হবে না। আমি এখন কাজ করে সংসার চালাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে দিন পার করছি।

ভড়ুয়াপাড়ার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাকে র‍্যাব ধরে চালান দিয়েছিল। কারাগারে ছিলাম সাত মাস। এখন থানায় প্রতি সপ্তাহে একদিন হাজিরা দিয়ে মুক্ত জীবনযাপন করছি। মাসুদ রানা নামে আরেকজন বলেন, আমি আড়াই বছর কারাগারে ছিলাম। হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছি। মাহিন্দ্রা গ্রামের লোকমান হাকিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জেএমবির মামলা দিয়ে অস্ত্রসহ চালান দেয়। অনেক দিন কারাগারে ছিলাম। এখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছি।

বেলপুকুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ২০০৫ সালে জেএমবি উথানের সময় এই সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়ায় পুলিশ তাঁদের সহায়তা করছে।