রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) আবাসিক হলের ছাদ খসে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার শেরেবাংলা হলের এ ব্লকের ৩০২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শেরেবাংলা হলের এ ব্লকের ৩০১, ৩০২, ৩০৩ ও ৩০৫ সহ আরও বেশ কয়েকটি কক্ষের ছাদ ধীরে ধীরে খসে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা স্বীকার করে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট ড. জুবায়ের আল মাহমুদ বলেন, 'হলের ভবনটি প্রায় ৮০ বছর পুরোনো। এত পুরোনো ভবন সংস্কারের অযোগ্য। ভবনটি এখন পুরোপুরিভাবে অনিরাপদ। ঘটনা জানার পরপরই আমি এবং আমার সহকারী প্রভোস্ট ঘটনাস্থলে যাই। আমার মনে হয় সাময়িকভাবে ছাত্রদের বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। আমি কালকেই ভিসি স্যারকে বিষয়টি জানাবো।'

জানা যায়, ঘটনার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের কোনো প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেননি। হলের প্রভোস্ট ড. জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে বারবার ফোন দেওয়ার পর সেখান থেকে একজন 'রাজমিস্ত্রী'কে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠানো হয়। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের মাঝে। ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী যতন চাকমা।

ক্ষতিগ্রস্ত রুমগুলো সংস্কারযোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে যতন চাকমা বলেন, 'সবকিছুই সংস্কার করা যাবে কিন্তু তা টেকসই হবে না। এই ছাদগুলো রিপেয়ার করলে ৬ মাসের মাঝেই আবার খসে পড়বে। আসলে বিল্ডিংটি এত পুরোনো যে এখানে রিপেয়ার করেও কোন লাভ নেই।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরেবাংলা হলের এক আবাসিক ছাত্র বলেন, 'আমাদের হলের তিনতলার রুমগুলোর ছাদের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। কিছুদিন পরপরই ছাদের অংশ খসে পড়ে। প্রশাসন কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন হল নির্মাণ করলো যার অর্ধেকটা খালি। তবুও আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই হলেই থাকতে হচ্ছে।'

এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোমেনুল আহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।