সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। এতে বিধ্বস্ত হয় বাড়িঘর। টর্নেডোর সময় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া এক জেলের মরদেহ আজ শুক্রবার কালিন্দী নদীতে ভেসে উঠেছে। মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

নিখোঁজ জেলে রুহুল আমিন উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তিনি নদীতে  মাছ ধরতে যান। হঠাৎ টর্নেডোর আঘাতে নৌকাসহ রুহুল আমিন নদীতে ডুবে যান। ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে নিখোঁজ জেলে রুহুল আমিনের মরদেহ কালিন্দী নদীতে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম লোকজন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রুহুল আমিনের মরদেহ কালিন্দী নদীর ভারতীয় অংশে শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে পড়ে থাকতে দেখো যায়। বিষয়টি শমসেরনগর বিএসএফ সদস্যরা তাদের নিশ্চিত করেন। পরে নদীতে জোয়ার শুরু হলে মরদেহ আবারও তলিয়ে যায়। মরদেহ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন ডুবুরিরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলায় টর্নেডো আঘাত হানে। এতে উপজেলার কৈখালী ও রমজাননগর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং তিন শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় তিন জেলে নিখোঁজ হলে দুজনকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন জানান, জেলে রুহুল আমিনের মরদেহ নদীতে ভাসছে দেখেছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কৈখালী চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ডসহ নৌ-পুলিশ সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।