- রাজধানী
- যৌতুক না পেয়ে এসিডে ঝলসিয়ে নারীকে হত্যার অভিযোগ
যৌতুক না পেয়ে এসিডে ঝলসিয়ে নারীকে হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় যৌতুক না পেয়ে ফাতেমা বেগম (৩১) নামে এক নারীকে নির্যাতনের পর এসিড দিয়ে ঝলসিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ফাতেমা ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকার মৃত মোসলেহ উদ্দিন সরদারের মেয়ে। স্বজনরা জানান, ২০০৮ সালে ফতুল্লার লালপুর এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাঁদের ১২ বছরের ১ ছেলে এবং ৬ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। আরিফ নেশাগ্রস্ত। প্রায়ই তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে নির্যাতন করতেন বলে দাবি স্বজনের।
ফাতেমার মা নাসিমা বেগম জানান, রোববার বিকেলে ফাতেমার শ্বশুর মোবাইল ফোনে কল করে জানান, তাঁর মেয়ে বাথরুমে পড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে মারা গেছেন। সন্ধ্যায় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে ফাতেমার মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। বাথরুমে পড়ে গেলে এখানে কেন?– এই প্রশ্নে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নাসিমা বলেন, আমাদের এক আত্মীয় সরকারি হাসপাতালের নার্স। তাঁর মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ফাতেমা গত ৯ মার্চ থেকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিল। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছুই জানাননি। রোববার বিকেলে মৃত্যুর পর জানিয়েছে। ফাতেমাকে দাফনের আগে গোসলের সময় গলা থেকে পুরো বুক ঝলসানো দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, দুই মাস আগেও আরিফ ২ লাখ টাকা যৌতুক চায়। আমি গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে দেব? টাকার জন্য আমার মেয়েকে ওরা নির্যাতন করেছে। পুরো শরীরে কালো দাগ ছিল। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে এসিডে ঝলসিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ফাতেমার খালাতো ভাই মাহবুব হাসান গতকাল রাতে সমকালকে বলেন, রোববারই ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা। তবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হলে ময়নাতদন্তের কাগজ লাগবে বলে জানায় পুলিশ। মরদেহ দাফনের পর থানায় মামলা করতে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, পরিবারের অভিযোগ, ফাতেমাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এসিডে ঝলসানোর বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি রিজাউল হক দীপু।
মন্তব্য করুন