- রাজধানী
- বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে: বঙ্গবন্ধু পরিষদ
বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে: বঙ্গবন্ধু পরিষদ

ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেছেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে।’ আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পান্থপথে পানিভবনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু: স্বাধীনতা, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রেহান সোবহানের সঞ্চালনায় এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. কামালউদ্দিন আহমেদ; নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.); মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম গেরিলা, প্রখ্যাত নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য আনন্দ কুমার সেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. কামালউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃত করছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঘোষণায় আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালিত ও অর্জিত হয়েছে।’
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে। এটা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পরদিন দেশি ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেভাবে গুরুত্ব সহকারে খবর পরিবেশন করে এটাই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। এটা বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ২৩ বছরের সংগ্রামের ফসল। আজ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।’
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী মহান নেতা ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।’
হারুন হাবীব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী নাম। তাঁকে ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে বা ছোট করতে পারবে না। তার অবস্থান ইতিহাসে নির্ধারিত হয়ে আছে। আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে চলি এবং তার আদর্শকে বাস্তবায়ন করি।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘যে কেউ ইচ্ছা করলেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারে না এবং এর পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কাজ করে। বাংলার জনগণ একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই সেই ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তাই তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। আসুন সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’
মন্তব্য করুন