- রাজধানী
- ডিএনসিসি মার্কেট এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে বাধা
দোকান মালিকদের অভিযোগ
ডিএনসিসি মার্কেট এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে বাধা

প্রতীকী ছবি
গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেট ও আশপাশের হোটেল-রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হোটেল মালিকরা। তাঁরা বলছেন, প্রথম রমজান থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের বদলে কেরোসিনের স্টোভ (চুলা) ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ফলে তাঁদের জ্বালানি খরচ দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গেছে। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা রোধে ফুটপাতের দোকানগুলোতে সিলিন্ডার ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে।
বুধবার সরেজমিন গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেট ঘিরে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্টগুলোতে দেখা যায়, কেরোসিনের চুলায় ইফতারসামগ্রী তৈরির কাজ চলছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ম্যানেজার সমকালকে বলেন, প্রথম রমজান থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। অনেক দোকান থেকে পুলিশ গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ করেছে।
এক রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারে ২০০-৩০০ টাকা খরচ হতো, এখন কেরোসিনের চুলায় ৯০০-১০০০ টাকা খরচ হচ্ছে। বনানী-গুলশানের অনেক রেস্টুরেন্টেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কারণ হিসেবে দুর্ঘটনা রোধের কথা বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিএনসিসি এলাকায় প্রায় ২০টিসহ আশপাশের প্রায় সব রেস্টুরেন্টেই নিষেধাজ্ঞার মুখে কেরোসিনের চুলায় রান্নার কাজ চলছে। গুলশান থানার ওসি বি এম ফরমান আলীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগকারী রেস্টুরেন্ট মালিকের নাম জানতে চান। পরে বলেন, ফুটপাতে সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করা কতটুকু নিরাপদ। এর পর তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে একজন এলপিজি ব্যবসায়ী সমকালকে বলেন, রান্নার কাজে এলপি গ্যাস খুবই জনপ্রিয়। তবে ফুটপাতের দোকান ও রেস্টুরেন্টে চুলার পাশে যেভাবে সিলিন্ডার রাখা হয়, তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সচেতনতার অভাবেই প্রায়ই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে ব্যবহারে বাধা দেওয়া কোনো সমাধান নয়।
মন্তব্য করুন