কখনও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার্সোনাল কাউন্সিলর, কখনও অডিট চিফ অফিসার, আবার কখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পিএস। এমন সব ভুয়া পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে আসছিল জহিরুল ইসলাম বাপ্পী নামে এক ব্যক্তি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এরপর বেরিয়ে আসছে প্রতারণার নানা অপকৌশল।

ডিবি সাইবার বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হক বলেন, অনলাইনে বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে ফোন করে বাসা দেখতে যায় জহিরুল। বাসা পছন্দ হওয়ায় সে ভাড়া নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পিএস হিসেবে পরিচয় দেয়। কিছুদিন পর সে বাড়িওয়ালাকে ফোন করে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক লোক নিয়োগ হবে। সেখানে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে যায়। চাকরি দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কিছু টাকাও নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

একপর্যায়ে মামলার বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, জননিরাপত্তা বিভাগে জহিরুল ইসলাম বাপ্পী নামে কোনো পিএস নেই। তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জহিরুলের অবস্থান শনাক্ত করে গত ২৬ মার্চ বাগেরহাট সদরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

পল্লবী থানার অপর এক মামলায় দেখা যায়, নিজেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান অডিট কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ফুড স্টোর কিপার এবং অডিট অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, কারও মিষ্টি কথার প্রলোভন, ভিজিটিং কার্ড বা সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি দেখেই আশ্বস্ত হওয়া যাবে না। কারও পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।