- রাজধানী
- দিনরাত মশায় নাজেহাল
দিনরাত মশায় নাজেহাল

মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মশারি বা কয়েল ব্যবহার ছাড়া কোথাও বসতেও পারছেন না পৌরসভার বাসিন্দারা। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে তাঁদের। বাড়ির কক্ষের চেয়ে শৌচাগারে মশার উপদ্রব আরও বেশি। পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মশকনিধনে ফগার মেশিন ব্যবহার করলেও তা তেমন কাজে আসছে না।
কলেজছাত্র খালিদ হাছান বলেন, ‘দিনরাত মশার কামড় খাচ্ছি। কয়েল বা মশারি ছাড়া রুমে অথবা বাইরে বসতে পারছি না। পৌরসভার কর্মীরা ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দিয়েছিল। তা শুধু নালা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।’
সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, পুরাতন কাচারি চত্বর, বিভিন্ন খেলার মাঠ, মুন্সীগঞ্জ সুপারমার্কেট, খালিষ্ট, উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুরের সড়ক এবং একাডেমিক ভবনের আশপাশের জলাশয়সহ সর্বত্র মশার বংশবিস্তার দেখা যায়। ইদ্রাকপুরের বাসিন্দা শেফালী আক্তার বলেন, ‘মশার অত্যাচারে শুয়ে-বসে বা পড়তে গিয়ে কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। মশা মারতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা কার্যকরী নয়।’
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কর্মী আবুল কালাম বলেন, চারটি নতুন মেশিন নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বংশবিস্তারের উৎসগুলো চিহ্নিত করে সে জায়গাগুলো ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। তিনি মনে করেন, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধন করা যাবে না, এ জন্য সবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, মশা নিধনের জন্য নতুন কিছু মেশিন আনা হয়েছে। এর পর থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন