ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে ফাইজুর রহমান বলেন, তিনি ২৩ বছর ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলার শ্রমবিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ভাঙ্গার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সালমান মুন্সী ওরফে তুহিন গুম নাটক সাজিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালান।

এক পর্যায়ে ফাইজুরকে নিজ বাড়ি থেকে ফরিদপুর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এতেও কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফেরেন। গত ১৮ মার্চ ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ৫টায় পৌঁছান তুহিন। সন্ধ্যায় ঢাকায় যাওয়ার জন্য পরিবহনের টিকিট কাটেন। কাউন্টারের সিসি ফুটেজও সংগ্রহ করেন ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা।

ফাইজুর দাবি করেন, এ ঘটনায় তুহিনের সহযোগী ছিলেন মিজানুর রহমান। এক পর্যায়ে ১৯ মার্চ রাতে তুহিনকে কোতোয়ালি থানায় হাজির করে ডিবি। পরে তুহিন স্বীকার করেন, নিজ ইচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে জড়িতদের খুঁজতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত উল্লাহ সাকলায়েন বলেন, নৌকার সৈনিকদের বিরুদ্ধে একটি অশুভ চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অপহরণ ও গুমের নাটক সাজিয়ে ফাইজুরসহ জেলা আওয়ামী লীগকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।