- রাজধানী
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
ঢাবি শিক্ষক সমিতি ও সম্পাদক ফোরাম
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি সংবাদ ও পত্রিকাটির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে সংগঠন দুটি প্রথম আলোসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির ১৫ পদের ১৪টিই আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের দখলে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে যে মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে একটি জাতীয় দৈনিকের সরকার বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। এতে এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতির ভাষ্য, অসৎ উদ্দেশে শিশুকে উৎকোচ দিয়ে সংবাদের উপাদান বানানো এবং ইচ্ছে করে একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অথচ এটিকে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে প্রচার করছে।
এদিকে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে প্রথম আলোয় ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক’ সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র এবং জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবশ্যই প্রথম আলোর যে কোনো সংবাদ প্রকাশের অধিকার আছে। কিন্তু সে সংবাদ যদি হয় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক, তা সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থি, নিন্দনীয় ও অপরাধমূলক কাজ। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মামলা হতে পারে। তবে সাংবাদিককে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে নেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
মন্তব্য করুন