বর্তমান শতাব্দীর সমাজ বিকাশে নারীদের জীবনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ,  নতুন চাহিদা এবং নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, চাহিদা ও সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন ধারার শক্তিশালী নারী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা।

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি’– স্লোগানে সংগঠনের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ আহ্বান জানান। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।

এ সময় ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঘোষণা পাঠে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম নারীর অগ্রগতির সামগ্রিক প্রেক্ষাপট, জাতীয় উন্নয়নে নারীর ভূমিকা, বিভিন্ন শ্রেণির নারীর অধিকারহীনতা এবং বৈষম্য ও বঞ্চনার দিকগুলো উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তার কার্যক্রম ও কর্মসূচিতে এসব ক্ষেত্র ধারণ করবে। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর জীবনে যতই সংকট থাক, তা ভেঙে এগিয়ে যেতে দৃঢ় অবস্থানে থাকা নারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ়তা নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা নারী আন্দোলনের ভাবনা হওয়া উচিত। বিভিন্ন শ্রেণির নারীর সমস্যা নিয়ে আজ বিচ্ছিন্নভাবে যেসব আন্দোলন হচ্ছে, তা মূল ধারার নারী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে; রাজনীতিতে নারীর সংক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যমকে নারীর প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার মাধ্যমে আগামীতে নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

মালেকা বানু বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের  ৫৩ বছর ধরে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত গৌরবের। এ দীর্ঘ সময়ে নারী আন্দোলনকে সংগঠিত করে সংগঠনের পথচলা সরলরৈখিক ছিল না। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নিজস্ব লক্ষ্য বাস্তবায়নে দৃঢ়বদ্ধ থেকে কর্মসূচি পরিচালনা করে চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। পরে সংগঠনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।