হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৬৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন। এখন অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী অক্টোবরে এই টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করা হবে। সে লক্ষ্যে জোরেশোরে চলছে এর নির্মাণকাজ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন প্রতিদিন ৩০টির বেশি বিমান সংস্থার ১৩৫-১৪০টি বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব বিমানের ২২ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ১ ও ২) ব্যবহার করেন। বর্তমানে বছরে ৮০ লাখের বেশি যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

বেবিচক প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে (১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ)। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার। আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।

তিনি আরও জানান, ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল কার পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখা যাবে। টার্মিনাল ভবনটির নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার স্থপতি রোহানি বাহারিন।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সমকালকে জানান, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। আগামী অক্টোবরে এই টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।