উন্মুক্ত দলবদল হওয়ায় লিগ শেষ করে পরের মৌসুমের জন্য দল গোছাতে মাঠে নামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দলগুলো। গত মৌসুম থেকে দলবদলের মাঠে এই নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আবাহনী আগে থেকে ক্রিকেটার দলে টানায় বাকি ক্লাবগুলোও প্রতিযোগিতায় নেমেছে। 

তবে মাঠে নেমেই ক্লাবগুলো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। ক্লাব কর্মকর্তাদের অভিযোগ উদীয়মান ক্রিকেটারদের খালেদ মাহমুদ সুজন ‘ব্লক’ করে রাখছেন। তার অনুমতি ছাড়া ক্রিকেটাররা দলবদল করতে রাজি হচ্ছেন না। বিসিবি পরিচালক ও কোচ সুজন অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

আবাহনী লিমিটেড ও শাইনপুকুর স্পোর্টিং ক্লাবের দল গড়েন সুজন। এ বছর লিগ শেষ করার আগেই পরের বছরের খেলোয়াড় দলে নিয়ে রেখেছেন তিনি। দলবদল করতে গিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রিকেটারকে তিনি ‘ব্লক’ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি ক্লাব। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্লাব কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকাশ্যে বলতে পারি না, শত্রুতা বাড়বে। কারণ যারা বোর্ড চালান, খেলোয়াড়রা তাদের কথার বাইরে যেতে পারবে না। যে পাঁচ-ছয়জন ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দিয়েছি সবার এককথা, সুজন ভাইয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু করতে পারব না। তিনি (খালেদ মাহমুদ) হয়তো চাচ্ছেন, আমরা খেলোয়াড়ের জন্য তাঁর কাছে ধরনা দিই।’ 

খালেদ মাহমুদ সুজন এটাকে ‘ফালতু’ অভিযোগ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার শাইনপুকুর দল করা হয়ে গেছে। আমাদের যাকে প্রয়োজন, তার সঙ্গে কথা পাকা করে সাইন করে ফেলেছি। কাউকে আটকানোর প্রশ্নই ওঠে না।’ তবে আবাহনীর কিছু খেলোয়াড় নেওয়া বাকি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

‘এ’ দলে খেলা ইরফান শুক্কুর রূপগঞ্জ ছেড়ে শাইনপুকুরে যোগ দিয়েছেন। তাকে ৩০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েও রাখতে পারেননি বলে দাবি করেছি রূপগঞ্জ। এক ক্লাব কর্মকর্তার অভিযোগ, বাংলাদেশ টাইগার্সে রাখার লোভ দেখিয়ে তাকে ‘ছিনিয়ে’ নেওয়া হয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে শুক্কুরকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। 

দলবদল বিষয়ে সুজন জানান, ক্রিকেটাররা যেখানে ভালো সম্মানী পাবে, সেখানেই খেলবে। অনেক ক্লাব এক বছরের টাকা দুই বছরেও পরিশোধ করে না। ব্যাটার মাহমুদুল জয় ও রাকিবুলের অন্য ক্লাবে প্রস্তাব থাকায় তিনি ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সেট করেছেন বলেও জানান। এছাড়া মোহামেডান তার কাছে খেলোয়াড় চেয়েছে। সাহায্য করতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু অনুমতি ছাড়া কোনো ক্রিকেটারকে দলবদল করতে নিষেধ করেননি তিনি।