আসন্ন ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি কার্যক্রম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে করতে এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। স্বল্প সময়ে কীভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা যায়, এ নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি কার্যালয়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভাও হয়েছে। এতে পশু কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের অন্তত এক হাজার মাংস ব্যবসায়ীকে নির্বাচন করে পশু কোরবানি ও বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অন্য উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ ও প্রস্তুতকরণ, অঞ্চলভিত্তিক বর্জ্য পরিবহনের ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন বিতরণ, ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য অপসারণ পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ, বাসা থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা, ল্যান্ডফিল প্রস্তুত রাখা এবং তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন ইত্যাদি।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ, র‌্যালি, টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং গাড়ি দিয়ে প্রচারণা চালানো হবে। মসজিদে খুতবায় এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ইমামকে চিঠি পাঠানো হবে।

সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরবাসীকে সচেতন করা একান্ত প্রয়োজন। নাগরিকদের সহযোগিতায় একযোগে কার্যক্রম পরিচালনা করলে অতিদ্রুত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্ভব।