- রাজধানী
- নৃশংসতার অভিযোগ এনে জোসেফ, হারিস, আনিসের গ্রেপ্তার দাবি
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক দুই কাউন্সিলর
নৃশংসতার অভিযোগ এনে জোসেফ, হারিস, আনিসের গ্রেপ্তার দাবি

রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান (বাঁয়ে) ও তারেকুজ্জামান রাজীব - ফোকাস বাংলা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ, হারিস, আনিসের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও হাবিবুর রহমান মিজান।
রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ অভিযোগ করেন। ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাজীব ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর এবং মিজান ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। ২০১৯ সালের শেষ দিকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে তাঁরা গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ কারাভোগের পর জামিনে বের হয়েছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজীব বলেন, তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার সাফল্যে সন্ত্রাসী তিন ভাই তোফায়েল আহমেদ জোসেফ, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদ ঈর্ষান্বিত হন। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করানো হয় তাঁকে। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাঁর সন্ত্রাসী ভাইদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এসব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাতিজাকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর বানানো হয়েছে তাঁকে গ্রেপ্তার করানোর পর।
মিজান বলেন, তিনি মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৬ সালে তাঁর ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে মোহাম্মদপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই মামলায় জোসেফকে ঢাকার জজ আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে জোসেফ আপিল করলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় হারিস ও আনিসও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে মুক্তিপান তাঁরা।
মন্তব্য করুন