প্রতারণার মাধ্যমে এক শিক্ষিকার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জাবের হোসেন চৌধুরী ওরফে জাহিন চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাবের বেকার হলেও বিভিন্নজনের কাছে নিজেকে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। সখ্য গড়ে তুলে চাকরি দেওয়া, স্বর্ণের বার ও কম মূল্যে গাড়ি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। তবে তাঁর প্রধান টার্গেট টাকাপয়সা আছে– এমন বয়স্ক ও বিধবা মহিলা।

পিবিআই জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি একটি অনলাইন গ্রুপের সঙ্গে নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে যান এক শিক্ষিকা। সেখানে গ্রুপের সদস্য হিসেবে জাবেরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর কথাবার্তা চলতে থাকে তাঁদের। একপর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের জন্য ওই অনলাইন গ্রুপের সঙ্গে ভুক্তভোগী শ্রীমঙ্গল ও সিলেটে বেড়াতে যান। সিলেট থেকে ফিরে জাবের তাঁকে জানান, চাকরির সুবাদে সরকার তাঁকে ৮৫ লাখ টাকার একটি গাড়ি দিতে চায়। কিন্তু সমপরিমাণ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অফিসে জমা দিতে হবে। তাঁর কাছে টাকা থাকলেও ২৮ লাখ কম পড়েছে। এসব কথায় ভুক্তভোগী জাবেরের ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১১ লাখ টাকা পাঠান।

কয়েকদিন পরে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও টালবাহানা শুরু করেন জাবের। পরে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও বন্ধ পান ভুক্তভোগী। এরপর তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, জাবের নামে কেউ সেখানে চাকরি করেন না।

এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল মিরপুর মডেল থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ ছাড়া সহযোগিতা চেয়ে পিবিআই ঢাকা মহানগর উত্তরের কাছে আবেদন করলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। জাবেরের নামে লক্ষ্মীপুর সদর থানা ও চট্টগ্রাম হালিশহর থানায় দুটি প্রতারণার মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় আরও একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।