'গুম-নিপীড়ন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায়' জড়িত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে একটি তথ্য সংগ্রহ কমিটিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির কথা জানান তিনি। 

জানা যায়, ১৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে আরও আছেন- যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুব দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান ও সালাহ উদ্দিন খান-পিপিএম। 

রিজভী বলেন, উল্লেখিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্যাদি পাঠানো যাবে, বা সরাসরি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেও তথ্য দেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ এলাকায় অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকারী নাগরিকদের ওপর খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায়সহ নানা ধরণের জঘন্য অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেই দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। দেশে দেশে সকল স্বৈরাচারই এ ধরণের মানবিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর যারা এই কাজটি বাস্তবায়ন করে তারা মূলত: ফৌজদারি অপরাধ করে।

রিজভী বলেন, এত সকল গায়েবী মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্যাদি সংগ্রহ যেমন সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথা সমীচীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবেন।

/এসএইচ/