রাজধানীর তুরাগে বাউনিয়া এলাকার বাসায় ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁর রক্তাক্ত নগ্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথায় গুরুতর জখম ও বুক ঝলসানো ছিল। কে বা কারা কেন তাঁকে হত্যা করেছে, এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার পর তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সাইফুল ইসলাম রানা পলাতক রয়েছেন।

তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার সমকালকে বলেন, হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দাম্পত্য কলহের জের বা অন্য কোনো কারণেও ঘটে থাকতে পারে হত্যাকাণ্ড। সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তাঁর প্রথম স্বামী এবং ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, বাউনিয়ার মইশেরটেক এলাকার আদর্শপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন ফাতেমা। দুই মাস আগে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। কিছুদিন ধরে তিনি চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি মাঝেমধ্যে ওই বাসায় আসতেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে আসা রক্ত দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা ঘরে উঁকি দিয়ে ভেতরে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ফাতেমা রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা পশ্চিমপাড়ার মুক্ত মিয়ার মেয়ে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহ পোড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।