কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তালা ভেঙে হলের কক্ষে প্রবেশ, ছাত্রীদের সঙ্গে আবাসিক শিক্ষকদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নানা সমস্যা নিয়ে ফটকের বাইরে বিক্ষোভ করেন শেখ হাসিনা হলের নারী শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফটকের ভেতরে পাঠিয়ে চা খেয়ে আসার কথা বলে বেরিয়ে যান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এর পর রাতভর হল প্রাধ্যক্ষ ও তাঁর সহযোগীদের ফেরার অপেক্ষায় থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন সকাল ১০টায়ও তাঁরা না আসায় হতাশ হয়ে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত সোমবার হলের কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে হল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে রাতেই হল ফটকের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। আন্দোলনের খবর পেয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন হল প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও। এ সময় প্রাধ্যক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করে শিক্ষার্থীদের হলের ভেতরে অবস্থান করতে বলেন। এর পর হল প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় সেখান থেকে চলে যান অন্য শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সর্বশেষ প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা চা খাওয়ার কথা বলে বাইরে গিয়ে গেটম্যানকে হলে তালা দিয়ে দিতে বলেন। শিক্ষকরা ফিরে আসবেন বলে সারারাত তাঁদের অপেক্ষা করিয়ে রেখেছেন।

শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়ে হলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে আমাদের অভিযোগ মেনে নেয়নি। কিছুক্ষণ পর চা খাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। সকাল ১০টা পর্যন্ত হল ফটকে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম আমরা। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’

চা খাওয়ার কথা বলে ফিরে না আসার বিষয়টি অস্বীকার করে হল প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমি এ কথা বললে অবশ্যই সেখানে ফিরে যেতাম। শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। হল থেকে ইলেকট্রিক হিটার, রাইসকুকার উদ্ধার করতে গিয়ে একটি কক্ষের তালা ভাঙা হয়।’