ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার দোকান কর্মচারীদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক লাখ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। ২০ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের এ অর্থ না পেলে দোকান কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রা করবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বলেন, এপ্রিলে বঙ্গবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা প্রধানমন্ত্রী, মেয়র, মন্ত্রী, মালিক সমিতি ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে ব্যবসার জন্য দফায় দফায় ২০ কোটি টাকার সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু প্রায় ১৫ হাজার দোকান শ্রমিক-কর্মচারী এক টাকাও ক্ষতিপূরণ পাননি। তাদের চাকরিরও নিশ্চয়তা নেই, কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও কর্ম-উপযোগী পরিবেশ নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অসুস্থ হলে টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে পারছেন না। 

অগ্নিকাণ্ডে কতজন দোকান কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, বঙ্গবাজারে প্রায় ৫ হাজার দোকান পুড়েছে। প্রতি দোকানে ৩ জন করে কর্মচারী ধরে মোট ১৫ হাজার কর্মচারী ধরা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে ৬ হাজার কর্মচারীর স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

কর্মচারীরা এক অনিশ্চয়তার মাঝে দিনযাপন করছেন উল্লেখ করে আমিরুল হক আমিন বলেন, সারা জীবন কর্মচারী হিসেবে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে এলেও এখন তাদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নাই। রোজার ঈদেও তারা বেতন পাননি। তাই কোরবানির ঈদের আগেই তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হবে।

এ সময় দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আমিরুল হক আমিন। এর মধ্যে রয়েছে- ১২ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত মেয়র, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি, ডিসি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে স্মারকলিপি প্রদান ও ২০ জুন ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।