- রাজধানী
- অনুমোদন ছাড়াই স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দুই প্রতিষ্ঠানে তালা
অনুমোদন ছাড়াই স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দুই প্রতিষ্ঠানে তালা

প্রায় এক বছর পর আবারও দেশব্যাপী শুরু হয়েছে অবৈধ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান। সোমবার শুরু হওয়া এ অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকার ভাটারায় দুই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অনুমোদন না থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষ-নিরীক্ষা (টেস্ট) করে আসছিল ওই এলাকার ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং ভাটারা ডায়াবেটিক সেন্টার। অভিযান চালিয়ে প্রমাণ পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ভাটারা জেনারেল হাসপাতালের ল্যাব চালানোর কোনো অনুমোদন নেই। নিবন্ধনের মেয়াদ দুই বছর আগেই শেষ হয়েছে। তারপরও তারা কার্যক্রম চালাচ্ছিল। আবার ডেঙ্গু পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ৩শ টাকা হলেও ৫শ টাকা নিচ্ছিল। অন্যদিকে, ভাটারা ডায়াবেটিক সেন্টার গত বছর কার্যক্রম শুরু করলেও অনুমোদনের প্রয়োজনই মনে করেনি। নিজেদের ল্যাব না থাকলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করত, অন্য স্থান থেকে পরীক্ষা করে নিজেদের নামে চালিয়ে যেত। তাই, দুটি প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অভিযান শুরু হলো, সারাদেশেই চলমান থাকবে। বেআইনিভাবে কেউ স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবে না।’
এর আগে গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আবারও সারাদেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আসছে। তাই, তাদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের লাগাম টানতে অভিযান চালানো নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু বরাবরই অভাব ছিল তদারকির। গত বছরও তা-ই হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে তিন দফায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হাজার অবৈধ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে কিছু প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আসলেও তদারকি না থাকায় স্থায়ী সুফলের দেখা মিলছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অভিযানের ফলে গত বছর নতুন নিবন্ধন ও নবায়ন করে সরকারের আয় ১০ কোটি টাকার বেশি। সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়মে আনা গেলে এ খাতে রাজস্ব আয় কয়েকশ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। তবে নীতিমালা না থাকায় এখনো দুর্বলতা রয়েছে। পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের দেখভালের সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
মন্তব্য করুন