ঢাকা শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সংস্কার-নির্বাচনের আগে আ.লীগের বিচার চায় শহীদ পরিবার

সংস্কার-নির্বাচনের আগে আ.লীগের বিচার চায় শহীদ পরিবার

ছবি: সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯:২৯

সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলবে তবে তার আগে জুলাই অভ্যুত্থানসহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য খুন, হত্যার হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে ‘জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের’ দাবিতে শহীদী সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির সঞ্চালনায় সভায় শহীদ পরিবার এবং আহতরা, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে; পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সভায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ইমাম হাসানের ভাই বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কেন রাস্তায় দৌড়াতে হবে। এখানে একটি প্রহসন চলছে। বাংলাদেশে সংস্কার হবে, নির্বাচন হবে; তবে তার আগে বিচার হওয়া লাগবে। সংস্কারের মূল বিষয় হওয়া উচিত বিচার।

শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় ভ্যানের উপর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ও তখন জীবিত ছিল। তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সকল হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। নইলে কিন্তু আমি ছাড়ব না। এক সন্তান মারা গেছে। দেশে আমার শত শত সন্তান আছে, তারা ছাড়বে না।

শহীদ সাইমের মা বলেন, যাত্রাবাড়িতে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। আমার বুকটা শূন্য করে দিয়েছে। ঈদ গেল, আমি ঈদ করতে পারি নাই। আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়। এখনো আমার ছেলের হত্যার বিচার পাইনি। আমার দাবি এই স্বৈরাচার হাসিনারে যেন দেশে এনে ফাঁসি দেওয়া হোক।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, সংস্কার না নির্বাচন আপনারা এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার নিশ্চিত করুন। বর্তমান সরকারের বৈধতা হচ্ছে শহীদরা। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে বাংলাদেশে কোনো কিছু প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ জন্য মাঠে নামতে হচ্ছে। এটা লজ্জাজনক।‌ আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

আরও পড়ুন

×