ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫

প্রজন্ম বরণ-১৪৩২

উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার

উপহার পেল পহেলা বৈশাখে জন্ম নেওয়া জেরিনের পরিবার

সমকাল আয়োজিত প্রজন্ম বরণ-১৪৩২ ক্যাম্পেইনের উপহার হাতে শিশু জেরিনের পরিবার। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ২২:২০

‘বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সন্তানের জন্ম হওয়ায় আমরা একটু বেশি খুশি ছিলাম। সেই খুশি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সমকাল। কেউ এমন উপহার নিয়ে আমাদের কাছে হাজির হবে এমনটি কল্পনাও করিনি কখনো।’ এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন বাংলা নর্ববর্ষের প্রথম প্রহরে তিনি দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়া জেসমিন আক্তার।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সমকাল ‘প্রজন্ম বরণের’ উপহার গ্রহণ করেন তিনি। এরপর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

জেসমিন আক্তার বলেন, সমকালের এমন উপহার পেয়ে আমরা অনেক খুশি। এর আগে কারও থেকেই এমন উপহার পায়নি। আমরা দুই সন্তান। দুই বছর আগে আমাদের ঘর আলোকিত করে আসেন প্রথম কন্যা সন্তান। ছোট মেয়েটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তার।

তিনি আরও বলেন, ছোট সন্তানকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন। স্বামী অটোরিকশা চালক। তার স্বল্প আয়ে চলে আমাদের সংসার। তবে কষ্ট হলেও সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করবো। বড় মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াবো। আমার ছোট মেয়ে জেরিন তাবাসসুমকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন। আল্লাহ আমাদের স্বপ্ন যেন পূরণ করেন। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

প্রজন্ম বরণের উপহার গ্রহণ করতে জেরিনের বাবা রাকিবুল ইসলামও আসেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের কাছে এমনিতেই আনন্দের দিন, এমন দিনে আমার ঘরে নতুন অতিথি এসেছে এটা আরও আনন্দের। সব চেয়ে বেশি খুশি লাগছে আমাদের মতো মানুষের জন্য পত্রিকা অফিস থেকে উপহার এসেছে।

স্ত্রীর গর্ভে থাকা অবস্থায় অনেক মা বাবার জানার আগ্রহ থাকে। স্ত্রীর গর্ভে মেয়ে না ছেলে সন্তান। তবে আমাদের এমন আগ্রহ ছিল না। আল্লাহ আমাদের যে সন্তান দিয়েছে সেটাতেই অনেক খুশি আমরা। স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর একটু দুশ্চিন্তায় ছিল। সিজার করানো লাগে কী না। তবে স্বাভাবিক প্রসবে সন্তান জন্ম নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসকরা অনেক আন্তরিক। রাকিবুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। ঢাকায় থাকেন সাত বছর ধরে। কিন্তু অল্প পড়াশোনার কারণে অনেক চেষ্টা করেও চাকরি হয়নি। ২০২২ সালে পারিবারিকভাবে জেসমিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এখন ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান রাকিবুল।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইকবাল কবীর বলেন, আমার সরকারি চাকরির বয়স প্রায় শেষ। আর এক বছর দুই মাস আছে। দীর্ঘ এই জীবনে পহেলা বৈশাখের জন্ম নেওয়া শিশুদের নিয়ে এমন আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। সমকাল থেকে এমন আয়োজনে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ আমাদের সেবার মানকে আরও উন্নত করবে। আগামীতে এমন উদ্যোগ হাসপাতাল থেকেও নেওয়া হবে। যদিও কাজে সরকারের কোনো বাজেট থাকে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×