ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

জবি শিক্ষার্থীদের কথা সরকার শুনবে: মাহফুজ আলম

জবি শিক্ষার্থীদের কথা সরকার শুনবে: মাহফুজ আলম

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫ | ২৩:২৫ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৫ | ০১:৪১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের কথা এই সরকার শুনবে। এই সংকটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবগত হয়েছেন। এর সমাধানের জন্য বারবার বসতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

আজ বুধবার রাত ১০টায় কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রতিনিধি দল। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সঙ্গে তারা যৌক্তিক দাবির বিষয়ে অবগত করার জন্য বসতে চেয়েছেন। এটা করার সুযোগ তারা পাবেন। এছাড়া জবি ভিসি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বসবেন। এটা এক দুই দিনের বিষয় না। আমাদের বারবার বসে এর সমাধান খুঁজতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিলেভেন্ট মিনিস্ট্রিও অবগত। আশা করি, তাদের সমস্যা দূরীভূত হবে; বিশেষ করে বাজেটের বিষয়ে। আরও কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়, তা আমরা দেখব।’

এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজের বক্তব্যে অসন্তুষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন। এই শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনের ব্যাপারে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করার দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার আবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন। প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে তাদের পদযাত্রা বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে কাকরাইলে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রায় টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। কাকরাইল ক্রসিং মোড়ে আসতেই টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক জন আহত হন। 

বিকেল তিনটার দিকে আলোচনার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন যমুনায় যান। দেড় ঘণ্টা পরে আলোচনায় অংশ নিতে যমুনায় যান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। পরে শিক্ষার্থীরা ফের কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন। পরে রাতে সেখানে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

আরও পড়ুন

×