সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: বিএনপি

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দেশের ছয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, একটি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপনির্বাচন, চারটি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে এ অভিযোগ করেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জনগণের রায় ছিনতাই করা হয়েছে। এসব এলাকার জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

নওঁগার রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী ও বেড়া উপজেলা, যশোরের বাঘারপাড়া, কুড়িগ্রামের রৌমারী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ও নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা এবং ফরিদপুরের সদর ও মধুখালী পৌরসভা নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোট উৎসব সৃষ্টি করে নির্বাচনকে সার্থক করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার তার আজ্ঞাবহ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এই নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি আশা করেছিল, ইসি তৃণমূলের ভোটাধিকারের কথা বিবেচনা করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তারা তা করেনি। তাদের নির্লিপ্ততা ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করেছে। বুধবার রাত থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আমরা নির্বাচনের নামে তামাশা, প্রহসনের তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং দ্রুত পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।

এসময় বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।