বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক মামলায় এখন পর্যন্ত কত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

এক আসামির জামিন শুনানির সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। সাত মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য বুধবার পৃথক সাতটি আবেদন কার্যতালিকায় ছিল। এর মধ্যে আদালত দুই মামলায় মোহাম্মদ আলীকে জামিন দিয়ে অপর পাঁচ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেন।

বুধবার শুনানিকালে আদালত দেখতে পান, বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় এখনও অভিযোগপত্র হয়নি। তাই আদালত জানতে চান, কত টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় দুদকের আইনজীবী আদালতকে জানান, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। তখন আদালত খাতওয়ারি কোন মামলায়, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কত টাকা উদ্ধার বা আদায় হয়েছে, তা লিখিতভাবে জানাতে দুদক আইনজীবীকে নির্দেশ দেন।

বেসিক ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। ওইসব মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামসহ আসামির সংখ্যা শতাধিক।