ফুটবলে অপ্রাপ্তির যে হাহাকার ছিল দেড় যুগের; মেয়েদের হাত ধরে তার অবসান হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাবিনা খাতুনরা কিছুটা হলেও ভুলিয়েছেন ছেলেদের ব্যর্থতাকে। সাফল্যের শৃঙ্গে পা রাখা বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে নতুন বছরে বড় চ্যালেঞ্জ অলিম্পিক। গোলাম রব্বানী ছোটনের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়ে প্রত্যাশার চাপে ফেলে দিয়েছেন জামাল ভূঁইয়াদের। 

ছেলেদের ফুটবলে ১৮ বছর ধরে নেই কোনো সাফল্য। ২০০৩ সাফ জেতার পর এখনও ট্রফিশূন্য বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবলের শোকেস। সাফ আসে, সাফ যায়; প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসেছে; কিন্তু ছেলেদের ফুটবলে ট্রফিটা অধরাই রয়ে যায়। ২০২৩ সালে আবারও সেই দুঃখ মোচনের সুযোগ পাচ্ছে লাল-সবুজের দলটি। চলতি বছরের মধ্য জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়ানোর কথা। ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। এ বছরই ফিফা উইন্ডোতে অনেক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। বছরের শেষ দিকে শুরু হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা। সবকিছু মিলিয়ে নতুন বছরে ছেলেদের ফুটবলে অনেক ব্যস্ততা।

একটা দেশের ফুটবলের মানদণ্ড বিবেচনা করা হয় ছেলেদের জাতীয় দলকে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশ কয়েক বছর ধরে ফুটবলের ঝান্ডা ওড়াচ্ছেন। এবার তাদের পথ ধরে ছেলেদের পালা। সাফ শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের সঙ্গে এবার ফুটবলে আরেকটি বড় ইভেন্ট আছে এশিয়ান গেমস। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর চীনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়াযজ্ঞ। নতুন বছরে জাতীয় দল প্রথম মাঠে নামতে পারে মার্চে ফিফা উইন্ডোতে।

মেয়েদের জাতীয় দলের ব্যস্ততা বলতে এপ্রিলে অলিম্পিক বাছাই। বছরজুড়েই মেয়েদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আছে। তবে নারী সাফ জেতায় এ বছর জাতীয় দল নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য ফিফা উইন্ডোতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ খেলবেন মেয়েরা।