প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৩৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন। আজ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার তথ্য বের হয়ে আসে। 

দুদকের কুষ্টিয়া জেলা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট জানায়, গত বছর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েকজন দালালের মাধ্যমে সেলিনা খাতুন ৩৪ লাখ টাকার ঘুষ নিয়েছেন। গ্যারান্টি হিসেবে নিজ নামের চেক দিয়েছেন। পরে প্রত্যাশীরা চাকরি না পাওয়ায় তিনি ১৮ লাখ টাকা ফেরত দেন। এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এসবের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে সেলিনা খাতুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

অপর অভিযান: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের নোয়াখালী জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি টিমের সদস্যদের জানান, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ভাতা বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।