- চতুরঙ্গ
- অর্থনীতিকে কোয়ারেন্টিন থেকে আইসিইউ?
অর্থনীতিকে কোয়ারেন্টিন থেকে আইসিইউ?

ড. ফরিদ খান
কভিড-১৯ দুঃসময়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছে সরকার। সাধারণত বাজেটের প্রাক্কালে সরকারের অর্থমন্ত্রী সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে নানা মহলের সাথে মত বিনিময় করে থাকেন এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের মতামত বা পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেন।
বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণে সেটি না হলেও বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষের পক্ষে যে খাতগুলো সুনির্দিষ্টভাবে অগ্রাধিকার পাওয়া প্রয়োজন বলে মনে হয়েছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে তার অনেকখানি প্রতিফলন ঘটেছে। এই বাজেটে খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার বিবেচনায় স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকার বাজেটটিকে গতানুগতিক না বললেও নিঃসন্দেহে বাজেটে গতানুগতিকভাবে অনেক ভালো পদক্ষেপ আছে যা এই আপদকালীন সময়ে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। তবে অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটের কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা চোখে পড়েছে।
প্রথমত, প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনা খাতের ব্যয় অনেক বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে যা উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক নয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ বেড়েছে ১.৬ শতাংশ অন্যদিকে সরকারের অনুন্নয়ন বা পরিচালনা খাতে বেড়েছে ১২ শতাংশ। প্রত্যাশা ছিল এই দুঃসময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর পরিচালনার মতো অনুৎপাদনশীল খাতে যতটা সম্ভব কৃচ্ছতা সাধন করে অর্থ সাশ্রয় করে উন্নয়ন খাতে বেশি বরাদ্দ বাড়ানো হবে সেখানে উল্টোটি ঘটেছে। এই বাজেটে প্রায় সকল পাবলিক সার্ভিস অফিসসমূহের পরিচালনা ব্যয় বরাদ্দ বেড়েছে, এই বাড়ার হার সর্বোচ্চ ৩৭ শতাংশ পর্যন্তও আছে। বিশেষ করে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে যেখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়েনি কিংবা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কিংবা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমেছে সেখানে বিনোদন, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিষয়ক খাতে চলতি অর্থ বছরের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৯ শতাংশ। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি পরিচালনা খাতে বরাদ্দ না বাড়লে অর্থনীতির জন্য একটি সিগন্যাল হিসেবে কাজ করতো। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিস তার পরিচালনা ব্যয়ে পরিমিত হতো। এছাড়া বড় বাজেটের অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের যে সকল কম গুরুত্বপূর্ণ খরচ আছে, বিভিন্ন উন্নয়ন বাজেটে যেসব কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে সেগুলোকে আপাতত স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারতো।
দ্বিতীয়ত, বড় অংকের রাজস্ব আয় আহরণ সরকারের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। সরকার করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে এবং করহার কমিয়ে আয়কর দাতাদের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে এটা ঠিক তবে এই পরিবর্তন সরকারের বড় অংকের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলবে। এই দুঃসময়ে এই পরিবর্তনের প্রয়োজন আদৌ ছিল কি না ভেবে দেখা দরকার। কেননা, করোনা পরিস্থিতিতে আয়কর প্রদানকারী অধিকাংশ মানুষের আয় কমেনি কিন্তু ব্যয় কমেছে। লকডাউনে প্রায় সকলেই বাড়িতে অবস্থান করেছে, সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত খরচ, যাতায়াত খরচ, আতিথেয়তা সব ক্ষেত্রেই খরচ কমে গেছে। মাঝে ঈদের বোনাস এবং পহেলা বৈশাখে উৎসবভাতা পেয়েছে কিন্তু দেশে বিদেশে ভ্রমণ কিংবা ঈদের কেনাকাটা খুব বেশি হয়নি। রোজার মাসে খরচও এবার অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে। এরকম অবস্থায় আয়ের করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি এবং কর হার কমানো খুব বেশি প্রয়োজন মনে হয় ছিলনা। এটি বরং চলমান আয় বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। কেননা দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অনেকের আয় কমেছে কিন্তু ব্যয় কমেনি যেহেতু তাদের আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয়ে। জাতীয় এই সংকটকালে যেখানে অন্যান্য দেশে বেতন স্কেল কমানো বা করের হার বাড়ানোর নজির আছে সেখানে আমাদের দেশে করহার কমানোর সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার অবকাশ রাখে। তবে সরকার যদি মনে করে কর হার কমিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কিংবা ভোগব্যয় বাড়াবে যা জাতীয় আয়ে যোগ হবে সেটা মনে হয়না এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতে কাজে আসবে।
তৃতীয়ত, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি বিশাল ঘাটতির বাজেট। বিদেশী অনুদান ছাড়া যা জিডিপির ৬ শতাংশ। নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, যার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৮৫ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বেশি। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এই বিশাল অংকের টাকা সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এমনিতেই তারল্য সংকটে ভুগছে। এই খাতের অব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, এবং খেলাপি ঋণ নিয়ে যে সমস্যা চলছে এর মধ্যে সরকারকে এত বিপুল পরিমান ঋণ দেয়া শুধু কঠিনই নয় সাধ্যাতীত হতে পারে। শুধু তাই নয়, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ইতোমধ্যে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে যার সিংহভাগ কেবলমাত্র স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। অথাৎ এই টাকাও ব্যাংকিং সেক্টর থেকেই যাবে। আবার এবারের বাজেটে ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কের হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে যা বড় জামানতকারীদের ব্যাংকে টাকা রাখতে নিরুৎসাহিত করতে পারে। এতে করে তারল্য সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং এই খাতকে আরও দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলতে পারে কেননা এই বহুমুখী চাপ নেবার মতো অবস্থা ব্যাংকের আছে বলে মনে হয়না। যা অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চতুর্থত, বাজেট ঘাটতির চেয়ে আস্থার ঘাটতি পুনরুদ্ধার করা এবং আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হবে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের অনেক দুর্বলতা উন্মোচন করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি, এবং অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ে সুবিধাবাদী শ্রেণীর অশুভ প্রভাব। এই ক্রান্তিকালেও ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম দেখেছি। এমনকি বাদ পড়েনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক উপহারের সুবিধাভোগীদের তালিকাও। একইভাবে স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটা নিয়েও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হচ্ছে আমাদের আর্থিক কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব প্রকট। আর্থিক খাতে সুশাসন সবার আগে নিশ্চিত করা প্রয়োজন তা না হলে বাজেটে যতই বরাদ্দ দেয়া হোক না কেন, যে খাতকেই গুরুত্ব দেয়া হোক না কেন তা জনগণের কল্যাণে আসবেনা, অর্থনৈতিক উত্তরণে সহায়ক হবেনা। প্রস্তাবিত বাজেটে সুশাসন নিশ্চিত করতে নতুন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। দুঃখজনকভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য কোন বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়নি। একইভাবে সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সুতরাং যে আশা করা হয়েছিল স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আর্থিক খাত নিয়ে জনমনে যে আশংকা এবং আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সবার আগে আর্থিক সুশাসন বিষয়টি বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে তা হয়নি। বাজেটের কার্যকর বাস্তবায়নে, বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দরকার আর্থিক সততা, সুসমন্বয় এবং সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এটি না হলে দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনা কাঙ্খিত সুফল অর্জনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা এবং দূর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত করাই এই বাজেটের কার্যত সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পঞ্চমত, স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হলেও করোনা পরিস্থিতি এবং আমাদের সক্ষমতা বিবেচনায় এই খাতে বরাদ্দ আশানুরূপ হয়নি বলেই মনে হয়। গত বাজেটে যেখানে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার কোটি সেখানে এবারে ১১ হাজার কোটি বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ৪১ হাজার কোটি যা বাজেটের ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশে। এটা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট বাড়েনি। করোনা মহামারীর প্রকোপে চিকিৎসা সেবা ও সরঞ্জাম নিয়ে মানুষের মাঝে যে আস্থার সংকট ও অনিশ্চয়তা এবং অসন্তোষ তৈরী হয়েছে তা প্রশমনে প্রস্তাবিত বাজেটে কোন দিকনির্দেশনার সন্ধান মেলেনি। একইভাবে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার সুযোগ তৈরিতে বা স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানোর চেষ্টা বা উদ্যোগ এই বাজেটে দেখা যায়নি।
ষষ্ঠত, প্রস্তাবিত বাজেটে যোক্তিকভাবেই সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যের পরেই কৃষি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। করোনা মহামারীর প্রকোপে বিশ্ব একটি বড় ধরণের খাদ্য সংকটের আশংকা করছে। কৃষিপণ্যের আমদানিতে বৈশ্বিক সংকট তৈরী হতে যাচ্ছে। তাতে সামনের দিনগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কৃষকদের স্বল্প সুদে যে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এই ঋণ সহায়তা যেন প্রকৃত কৃষকরা পান তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রায়শই দেখা যায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাননা ফলে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা দেখা যায়নি। কৃষিজাত পণ্যের বাজার ব্যবস্থায় পাইকার, মজুদদার মিলারদের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অশুভ প্রভাব কিভাবে দূর করা যায়, কৃষকদের নিকট থেকে কিভাবে আরও বেশি পরিমানে সরাসরি পণ্য ক্রয় করা যায় সে বিষয়ে বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় এ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা রাখা; কৃষিকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে; এবং এর পরেই সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া - এগুলো সবই এই বাজেটের ইতিবাচক দিক। বিশেষ করে দীর্ঘ ছুটি ও লকডাউনের কারণে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সামাজিক নিরাপত্তার আওতা সম্প্রসারণ করেছে এবং সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়িয়েছে এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এছাড়া বিলাসী দ্রব্য-সামগ্রী, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বা তামাকজাতীয় পণ্যে কর হার বৃদ্ধি এগুলো ভালো সিদ্ধান্ত।
বাজেট কতটা সফল ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং অর্থনীতিতে কতটুকু গতি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে তা একদিকে নির্ভর করবে এই করোনা মহামারী কতদিন দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং এর দ্বারা ক্ষতির পরিমাণ কি হবে তার উপর। অন্যদিকে আলোচিত চ্যালেঞ্জগুলি সরকার কত সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারছে এবং দুর্বলতাসমূহ কাটিয়ে উঠতে কি কৌশল অবলম্বন করছে তার উপর। তবে, সংখ্যার মোহে আটকে না থেকে আর্থিক খাত ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে জনমনে যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে তার সমাধান করতে না পারলে এই বাজেট ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলতে পারবে না। বরং আরও গভীর সংকটে ফেলে দিয়ে অর্থনীতিকে কোয়ারেন্টিন থেকে আইসিইউতে টেনে নিয়ে যেতে পারে।
লেখক সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন