- চতুরঙ্গ
- আমাদের নিবেদন
আমাদের নিবেদন

আজ মহান বিজয় দিবস। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা এবার ফিরে তাকাতে চেয়েছি আমাদের বীরত্ব আর পরম ত্যাগের অনন্য অধ্যায়ের দিকে। ১৯৭১ আমাদের অস্তিত্বের অবিনশ্বর প্রতীক। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলাকে প্রতিহত করতে অকুতোভয়ে পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন বাংলার কৃষক-জেলে, ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনসাধারণ। মুক্তিযুদ্ধে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লাখ লাখ নিরস্ত্র বাঙালি যেমন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম ক্রোধে শহীদ হন, তেমনি শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য।
সমকাল বিস্মৃত সেইসব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কথায়-কলমে এবার উপস্থাপিত হলো বাঙালির ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়- সম্মুখসমরে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগাথা; দেশের জন্য তাদের আত্মত্যাগ। এই দেশ ও জাতির বিকাশে তাদের চিরস্মরণীয় অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে- এই প্রত্যয়ে সমকালের তৃণমূলের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস সংখ্যা-২০২০ এ আমরা উপস্থাপন করছি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়ান- 'অস্ত্র হাতে লড়তে জানি'। এখানে তাদের পরম গৌরব আর চরম বীরত্বব্যঞ্জক যুদ্ধের বিবরণ; আহত হওয়ার ঘটনা ও তার পূর্বাপর বিবরণীর ভেতর দিয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের জন্মযুদ্ধের জানা-অজানা নানা কাহিনি। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমরা স্মরণ করি লক্ষ শহীদ ও আমাদের বীর যোদ্ধাদের।
সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করুন