- চতুরঙ্গ
- বঙ্গবন্ধুর নেপথ্যে বঙ্গমাতার বিশালত্ব রয়েছে
বঙ্গবন্ধুর নেপথ্যে বঙ্গমাতার বিশালত্ব রয়েছে

কালের যাত্রায় আবারও ফিরে এসেছে আগস্ট। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির দোসরদের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এদিন শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও। মহীয়সী এই নারী জন্মেছিলেন আগস্টেরই ৮ তারিখে। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গ্রথিত, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও (যিনি বঙ্গবন্ধুর প্রিয় রেণু) পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম। ফজিলাতুন্নেছার শৈশবের সঙ্গী শেখ মুজিবুর রহমান। তারা একই পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। জীবন চলার পথে একে অপরের অপরিহার্যতার প্রমাণ দেন ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে নেপথ্যে নিভৃতে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কোনো কাজেই তিনি বাধার সৃষ্টি করেননি, বরং সাহসের সঙ্গে উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছেন। সাধারণ বাঙালি গৃহবধূর ব্যতিক্রম চরিত্রের আবহে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণাদাত্রী ছিলেন। চিরায়ত বাঙালি গৃহবধূরা যেখানে সংসারের আয়-উন্নতি এবং বিলাসী জীবনের জন্য প্রতিনিয়ত স্বামীকে নানাভাবে প্রলোভিত করে, স্বামীকে অস্থির করে রাখে বঙ্গমাতা রেণু ছিলেন এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। নিজের শাড়ি, গহনা কিংবা বিলাসী জীবনের কথা বঙ্গমাতা কখনোই ভাবেননি। বরং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, আদর্শকে নিজের জীবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করেছিলেন। সাদামাটা আটপৌঢ়ে গৃহবধূর ভেতরকার রূপ ছিল অসাধারণ প্রজ্ঞা আর কঠোর বাস্তবতায় গড়ে ওঠা দৃঢ়তার বলে বলীয়ান।
নবীন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ আলোচনায় বঙ্গমাতার জীবনাচারও আলোচনার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যার অবদান অনস্বীকার্য, তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
বঙ্গমাতার পিতা শেখ মোহাম্মদ জহুরুল হক যশোরে কো-অপারেটিভ ডিপার্টমেন্টে অডিটর পদে চাকরি করতেন। প্রথম কন্যা বেগম জিনাতুন্নেছা, ডাকনাম জিন্নির ৫ বছর এবং কনিষ্ঠ কন্যা ফজিলাতুন্নেছা, ডাকনাম রেণুকে দুই বছরের রেখে পিতা শেখ মোহাম্মদ জহুরুল হক এবং পরে মাতা হোসনে আরা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। তখন এই দুই নাবালিকা অনাথ মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব এসে বর্তায় আশি বছরের বৃদ্ধ দাদা শেখ মো. আবুল কাসেমের ওপর। শেখ মোহাম্মদ আবুল কাসেম বিশাল ভূসম্পতির অধিকারী ছিলেন। তিনি তার সর্বস্ব উত্তরাধিকার তার দুই নাতনিকে লিখে দিয়েছিলেন।
পিতৃ-মাতৃহারা হয়ে শিশু ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমান আর মাতা সায়েরা খাতুনের আদরে বঙ্গবন্ধুর অন্য ভাইবোনদের সঙ্গে খেলার সাথী হয়ে বড় হয়েছেন। ফজিলাতুন্নেছার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি না হলেও তিনি বাসায় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ালেখা করেছেন। বারো কি তেরো বছর বয়সের শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় ফজিলাতুন্নোছা রেণুর। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, 'বিয়ে কী তাতো বুঝলাম না। শোনলাম রেণুর দাদা আমার আব্বাকে এক রকম হুকুম জারি করেছিলেন। মুরুব্বীরা তাঁর কথা অবহেলা করার অবকাশ পাননি। সুতরাং বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়ে গেল।' (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ. ৭।)
দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গমাতা নিজেকে যুক্ত করেছেন। তিনি ছাত্রলীগকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাকসহ অপরাপর ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। নিজের গহনা বিক্রি করে ছাত্রলীগের সম্মেলনে টাকা দিয়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকে আয়কৃত টাকায় তিনি অনেক মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের দুটি ঐতিহাসিক যুগসন্ধিক্ষণের সঙ্গে বঙ্গমাতা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জন বাঙালি নৌ ও সেনাবাহিনীর সদস্য ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। বঙ্গবন্ধু এ মামলায় বিচলিত না হয়ে আইনিভাবে মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আইনজীবীদের অর্থ জোগানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেন। এ মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হলে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বাঙালি রাস্তায় নামে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজপথ বিক্ষোভে পরিণত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। আন্দোলনের বেগবানতায় কার্যত পিছু হটে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সরকার এ সময় লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে জোরালো আপত্তি জানান। পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি দেখে তিনি বুঝতে পরেছিলেন যে, পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবকে প্যারোলে নয়; নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। তিনি কারাগারে শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লাহোর বৈঠকে যেতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বুঝতে পেরেছিলেন যে, শেখ মুজিবের ব্যাপারে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ আছে। পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে। ফজিলাতুন্নেছার পরামর্শে শেখ মুজিব শক্ত থাকেন। প্যারোলে মুক্তির ক্ষেত্রে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে শেখ মুজিবের মুক্তি আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিলাভ করেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঙালি তাদের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়ে বরণ করে নেয়। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে প্যারোলে মুক্তি না নেওয়ার শেখ ফজিলাতুন্নেছার এই সিদ্ধান্ত যে কোনো মাপকাঠিতে অনন্য হিসেবে স্বীকৃত।
বঙ্গমাতার অপর অনন্য সাধারণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। আমরা জেনেছি যে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যে বঙ্গমাতার সঠিক পরামর্শ ছিল। বঙ্গবন্ধুকে সেই সময়ে তার সহচররা ৭ মার্চের ভাষণের ব্যাপারে নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন। বঙ্গমাতা এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে যা মন থেকে বলতে ইচ্ছা করে, যা বলা উচিত, তাই বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' বলে বঙ্গবন্ধুর সেই দিনের স্বাধীনতার ডাকে বঙ্গমাতার মনস্তাত্ত্বিক সমর্থন বঙ্গবন্ধুকে সাহস জুগিয়েছিল। বাঙালির স্বাধীনতা ও অধিকার সংগ্রামে ওপরে বর্ণিত এ দুটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে যদি বঙ্গমাতা প্রত্যক্ষ অবদান না রাখতেন, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত।
সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতির যে অমূল্য সম্পদ বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালে লেখা 'কারাগারের রোজনামচা', বঙ্গবন্ধুর দেখা 'নয়াচীন' গ্রন্থ তিনটি বঙ্গমাতার সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকালে বঙ্গমাতা তাকে দেখতে গিয়ে চারটি খাতা আর কলম দেন এবং বঙ্গবন্ধুকে আত্মজীবনী লেখার অনুরোধ করেন। এই অনুরোধের ফসল হিসেবে আমরা বঙ্গবন্ধু রচিত কালজয়ী গ্রন্থগুলো পেয়েছি।
বঙ্গবন্ধু তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গমাতা কারাগারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দেওয়াসহ বঙ্গবন্ধুর পরামর্শও নিয়ে আসতেন। বঙ্গমাতা সেই পরামর্শ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের জানাতেন। তিনি এ দেশের মুক্তি ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে, তখন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালি মুক্তির সনদ ছয় দফা কর্মসূচির লিফলেট বিভিন্ন স্থানে গণমানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। এই লিফলেট বিতরণে তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাজে লাগিয়েছেন।
বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্টম্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গমাতাও বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মননে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্থান করে নিয়েছেন। মানবিকতার মা এবং পরিশুদ্ধ বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে, শেখ হাসিনা এই শিক্ষা পেয়েছেন বঙ্গমাতার কাছে থেকে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং নারী হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার যে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন, এই প্রেরণা এবং নারী আদর্শ তিনি বঙ্গমাতার কাছ থেকে শিখেছেন। বাঙালি জাতির ভুলে গেলে চলবে না যে, বঙ্গবন্ধুর ঝঞ্ঝাবহুল রাজনৈতিক জীবনের প্রেক্ষাপটে তার সন্তানদের মানুষ করা কঠিন ছিল। কিন্তু জাতি আজ অসামান্য যে নেত্রীর পথ ধরে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছে, সেই শেখ হাসিনা তার আদর্শ ও যত্নেই অবয়ব লাভ করেছেন।
পাঠকের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, আমার প্রিয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল আছে। আবাসিক হল আছে
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেও।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' নামে
ছাত্রীদের আবাসিক হল প্রতিষ্ঠা করে মহীয়সী এই নারীর প্রতি অতি সামান্য
সম্মান আমরা জানাতে পেরেছি। বঙ্গমাতার নামে হল নির্মাণ করে জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবান্বিত হয়েছে। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়,
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গমাতার নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা
প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে। বঙ্গমাতার অবদানের স্বীকৃতিতে এসব নামকরণ
সামান্যই। বঙ্গমাতার আদর্শ নারী সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারলে এবং নারীকে
অনুপ্রাণিত করতে পারলে বঙ্গমাতার প্রতি প্রকৃত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হবে। আমরা
বিশ্বাস করি, বঙ্গমাতা ছাত্রীদের জন্য অনুকরণীয়। এ জন্য বঙ্গমাতাকে আরও
গভীরভাবে জানতে হবে এবং তার জীবনকর্ম নিয়ে গবেষণা করতে হবে। এতে বঙ্গবন্ধুর
নেপথ্যে বঙ্গমাতার বিশালত্বের অজানা নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
মন্তব্য করুন