চট্টগ্রামে নালায় পড়ে সবজি ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) দায়ী করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুই সংস্থাকে দায়ী করা হয়।

২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুর এলাকায় পা পিছলে পড়ে নালায় তলিয়ে যান ছালেহ আহমেদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী। দুই মাস পার হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি তার।

ঘটনার জন্য দায় কার, তা তদন্ত করে বের করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তদন্ত প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও জমা দিতে বলা হয়। মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি পাওয়ার পর ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন বিভাগীয় কমিশনার। বুধবার এই সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনটিতে দায় নির্ধারণ করা হলেও কোনো সুপারিশ করা হয়নি। তবে ঘটনার জন্য বরাবরই একে অপরকে দায়ী করে আসছে চসিক ও চউক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে ছালেহ আহমেদ নামে একজন সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দায় রয়েছে। দুই সংস্থার দায় দুই ধরনের। চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নালার ওপর থেকে এক বছর আগেই স্ল্যাব সরিয়ে নিলেও তারা সেখানে কোনো নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা দেয়নি। আর নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হলেও তারা সেটি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

শুধু সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদই নয়, সম্প্রতি নগরীতে নালা ও খালে পড়ে চারজনের মৃত্যু ঘটেছে। ৩০ জুন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। ২৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের মাজারগেট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া (১৯)।