নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য ও একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে  এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সোয়া ১ ঘণ্টার এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ও পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের ৩ নেতা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির দায়িত্বে আছেন।

সূত্র মতে, সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ৩টি গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সোয়া ১ ঘণ্টা পর রাত ৮টায় তারা বেরিয়ে আসেন। 

এর পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে। কাল থেকে প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছিলাম।

নানক আরও বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলেছি যে কোনো কিছুর বিনিময়ে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আমরা আজ এখানে কোনো গোপন বৈঠক করিনি। প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকেছি এবং প্রধান ফটক দিয়েই বের হচ্ছি। ফলে এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, এটি একটি অনির্ধারিত বৈঠক ছিল। তারা এসেছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ও কেন্দ্রের বিষয়ে কথা বলতে। ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড ও কেন্দ্রে যেন আমরা অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োগ করি সেটি জানাতে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি।

এদিকে এ বৈঠক নিয়ে নগরীতে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, এটি নিয়ে সন্দেহ বা গুঞ্জনের কিছু নেই। তারা আসতেই পারেন। অনেকের সঙ্গেই আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে কথা বলেছি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই গোপন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা ঢাকার মেহমান, নারায়ণগঞ্জের ভোটার নন। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতেই এই বৈঠক করা হয়েছে। 

প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি দলের নেতাদের এ ধরনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সব শোনার পর বলেন, ‘আমি সব কিছু না জেনে বুঝে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না।’

১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।