ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নের সক্ষমতার টুঁটি চেপে ধরতে দেশটির স্বর্ণ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা পুতিনের যুদ্ধ মেশিনের হৃদপিন্ডে আঘাত হানবে। 

রাশিয়া ২০২১ সালে মোট ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের স্বর্ণ রপ্তানি করে। যুক্তরাজ্য বলছে, ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই দেশটির কাছে স্বর্ণের গুরুত্ব বেড়েছে। কারণ রাশিয়ান ধনকুবেররা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সোনার বার কিনছেন। রোববার এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন। 

জি-সেভেন ভুক্ত দেশগুলোর জার্মানিতে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত আসে বলে বিবিসি অনলাইন জানায়।  এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালিও এই নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেবে। 

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, একসঙ্গে জি-সেভেনভুক্ত দেশ রাশিয়ান সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঘোষণা করবে। স্বর্ণ রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য যা থেকে দেশটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পেয়ে থাকে। 

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অর্থায়নের দিক থেকে পুতিন সরকারকে চেপে ধরতে হবে। যুক্তরাজ্য এবং তার মিত্ররা সেটাই করছে। 

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে হচ্ছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। আর ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাশ্চাত্য এবং তাদের মিত্র দেশগুলো মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।