- চতুরঙ্গ
- বাংলোতে বসে অফিস করছেন ইবি উপাচার্য
বাংলোতে বসে অফিস করছেন ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলছেই। প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশের মূল গেটে তালা ঝুলছে। গতকাল বুধবার তৃতীয় দিনের মতো সেখানে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের গঠন করা অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এ দিনও অফিসে আসেননি উপাচার্য। বাংলোতে বসে কাজ করছেন তিনি। এ দিকে উপাচার্যের অডিও ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করতে শাপলা ফোরামের শিক্ষকরা তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভ্যানের ওপর স্থাপন করা মাইকে গতকাল অডিও রেকর্ড উচ্চ স্বরে বাজানো হয়। এই অডিওর কণ্ঠ উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ। তবে কারা মাইক নিয়ে এসেছে, সেটি বের করতে পারেনি ইবি প্রশাসন। অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান টিটু ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোদ্দারের নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে দিনভর বিক্ষোভ চলেছে। আন্দোলনকারীরা ব্যানার নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। মিজানুর রহমান টিটু বলেন, মাইক কারা নিয়ে এসেছে, তাঁদের জানা নেই। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলবে।
এদিকে তিন দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। আন্দোলনে শিক্ষকদের বড় একটি অংশের ইন্ধন রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। উপাচার্যের মেয়াদ প্রায় দুই বছর পার হয়ে যাওয়ায় এই পদপ্রত্যাশী সিনিয়র শিক্ষকদের কেউ কেউ গোপনে আন্দোলনে সমর্থন জোগাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের জরুরি সভায় উপাচার্যের অডিও ফাঁসের সত্যতা বের করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে উপাচার্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে এর তদন্ত দাবি করেছেন।
এ ঘটনার জেরে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর আগেও নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন