ইয়াবা ট্যাবলেট বাকিতে না দেওয়ার কারণে নাগরপুরের সলিলে ফরিদ উদ্দিনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার আজ বুধবার বিকেলে আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেয় তিন আসামি।

তারা হলো– নাগরপুর উপজেলার ভারড়া গ্রামের ওলি তালুকদার, কামাল হোসেন ও শালিয়ারা গ্রামের সোহানুর ইসলাম ফারদিন। 

আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, নাগরপুরে ফরিদ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দি দিতে রাজি হয় তারা। টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে ওলি তালুকদার, বিচারক মেসকে জান্নাত রিপার আদালতে সোহানুর ইসলাম ও বিচারক সজিব চৌধুরীর আদালতে কামাল হোসেন জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিন আসামির ভাষ্যমতে, ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করত। ইয়াবা নিয়ে সে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে। অনেকবার ফরিদের কাছ থেকে ইয়াবা ক্রয় করেছে তারা। ঘটনার দিন ফরিদের কাছে ইয়াবা ক্রয় করতে তার সেচপাম্পে যায় তারা।

এ সময় তাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না। তিন থেকে চারটি ইয়াবা ট্যাবলেট বাকিতে নিতে চায়। কিন্তু বাকিতে দেবে না বলে জানায়। তখন জোর করেই নিতে চায় তারা। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সেচপাম্পে থাকা রেঞ্জ দিয়ে ফরিদকে আঘাত করা হয়। এরপর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইয়াবা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। 

টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক একেএম আলীনুর হোসেন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুন হয় ফরিদ উদ্দিন। গ্রামের কিছু মাদকসেবী যুবকের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা বাদী হয়ে নারগরপুর থানায় মামলা করেন। কয়েক দিন তদন্ত করে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।