মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের অবৈধ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ কী ও কখন এটি জারি হয়েছিল—এসব বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘খুনি মোশতাক ও জিয়ার অবৈধ সরকারের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স: পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এক কালো আইন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এতে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী এই কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পেছনে ছিল সেনাবাহিনীর বিপথগামী একদল কর্মকর্তা। তারা খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। হত্যার দায় তাদের কারও বাঁচার কোন উপায় ছিল না। সেজন্য একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় পৃথিবীর ইতিহাসের এক নজিরবিহীন কালো আইন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ। অধ্যাদেশটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন অবৈধ রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এইচ রহমান। অধ্যাদেশের সোজাসাপ্টা মানে দাঁড়ায় যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ জারির পেছনে তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল নিজেই রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হয়ে জিয়াউর রহমান ওই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল কুশীলব জিয়া-মোশতাক চক্রের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করার জন্য অবশ্যই কমিশন গঠন করতে হবে।  

এই সভায় আলোচক ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মফিজুল হক সরকার, রুহুল আমিন মজুমদার ও জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশাসহ প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।